সর্বশেষ
ইরান থেকে আবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ৩ জন নিহতের দাবি
সম্পূর্ণ নিউজ
আশুলিয়ার সোলার প্যানেল। ছবি: সংগৃহীত
আশুলিয়ার সৌর প্যানেল সাফল্য : প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হলো ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ সোলার প্যানেল
বাংলাদেশের তৈরি সোলার (সৌর) প্যানেল জগতে দারুণ সাফল্য। বিদেশের মাটিতে রপ্তানির পথও খুলেছে। প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রথমবারের মতো সোলার (সৌর) পিভি মডিউল রপ্তানির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ চেইনে যুক্ত হলো বাংলাদেশ।
দেশীয় শিল্পগোষ্ঠী ইস্ট কোস্ট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট অ্যালায়েন্স লিমিটেডের উদ্যোগে ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় নিজস্ব কারখানায় তৈরি 'ওমেরা সোলার' (Omera Solar) প্যানেল, যা বিশ্ববাজারে প্রবেশ করছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্য হিসেবে।
জানা যায়, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি এসব সোলার প্যানেল গুণগত মানে বিদেশী আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এরই মধ্যে বড় ধরনের আগ্রহ তৈরি করেছে।
রেডিয়েন্টের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ২০২৫ সালের ১৯ জুন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্লিনগ্রিড ইনকরপোরেশনের কাছে প্রথম চালানটি পাঠানো হয়। ২১৫ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের চার বছর মেয়াদি এ রপ্তানি চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠানটি ২০২৮ সাল পর্যন্ত মোট ৬৪.৬০ মেগাওয়াট সোলার মডিউল সরবরাহ করবে। এর মধ্যে ২০২৫ সালেই ১২.৪০ মেগাওয়াট পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১০০ ওয়াট এবং ২০০ ওয়াট কনফিগারেশনের মডিউলগুলি সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত রেডিয়েন্টের সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্ল্যান্টে তৈরি করা হয়। ৬০০ মেগাওয়াট বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এই প্ল্যান্টটি দেশের সবচেয়ে উন্নত প্ল্যান্টগুলির মধ্যে একটি।
রেডিয়েন্ট অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী (সিইও) মাসুদুর রহিম বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের প্রতিষ্ঠানের নয়, বরং পুরো দেশের জন্যই একটি বড় অর্জন। আমরা প্রমাণ করছি যে 'মেড ইন বাংলাদেশ' বিশ্বব্যাপী বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারে।’
শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এই রপ্তানির মাধ্যমে সোলার প্যানেল উৎপাদনে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় নতুন দেশ হিসেবে উঠে আসছে। বর্তমানে এই খাতের নেতৃত্বে রয়েছে চীন, ভারত ও ভিয়েতনাম।
মাসুদুর রহিম বলেন, ‘২০২৬ সালের জন্য আরও ৩০০ মেগাওয়াট অর্ডারের বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে, যা স্থানীয় উৎপাদন ক্ষমতার উপর আন্তর্জাতিক আস্থার বড় একটি ইঙ্গিত।’
তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোনও স্থানীয় কোম্পানি সৌর পিভি মডিউল রপ্তানি করছে। রেডিয়েন্ট অ্যালায়েন্সের ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে উৎপাদন প্রক্রিয়া চলছে, যা আগে কেবল দেশীয় সোলার হিসেবে হোম সিস্টেম (SHS) বাজারের জন্য উৎপাদন করত।
তিনি বলেন, ‘রেডিয়েন্টের পিভি মডিউলের আকার ৫০ ওয়াট থেকে ৭০০ ওয়াট, যা তার প্ল্যান্টে তৈরি করা হচ্ছে যেখানে রেডিয়েন্ট প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য পণ্য তৈরি করছি। এ লক্ষ্যেই সম্প্রতি নতুন একটি উৎপাদন লাইন চালু করা হয়েছে।’
সোলার মডিউল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (এসএমএমএবি) সাধারণ সম্পাদক গোলাম বাকি মাসুদ বলেন, ‘এটি প্রমাণ করে বাংলাদেশ এখন উন্নত মানের নবায়নযোগ্য জ্বালানির পণ্য তৈরি করে রপ্তানি করতে পারছে। এটি একটি স্বপ্ন ছিল, আমরা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। চীনা সৌর প্যানেলের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে সোলার প্যানেল রফতানির ক্ষেত্রে বেশকিছু শর্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। বিশেষত সৌর বিদ্যুতের কাঁচামাল (সোলার সেল) নন চাইনিজ হতে হবে, অর্থাৎ চীন থেকে আমদানিকৃত কাঁচামাল দিয়ে তৈরি সোলার প্যানেল মার্কিন প্রবেশে বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই রেডিয়েন্ট অ্যালায়েন্স এ ক্ষেত্রে লাওস থেকে কাঁচামাল আমদানি করছে। এসব সোলার সেল সাভারের কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সোলার প্যানেল প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সোলার মডিউল ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এসএমএমএবি) সভাপতি ও রহিমআফরোজ রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনাওয়ার মিসবাহ মঈন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে রেডিয়েন্টের রপ্তানি উদ্যোগ দেশীয় অন্যান্য উৎপাদকদের জন্য অত্যন্ত উৎসাহজনক।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা নেপালে খুব ছোট আকারের প্যানেল রপ্তানি করেছিলাম। এখন বড় আকারের প্যানেল তৈরির প্রয়োজন, যার জন্য বড় বিনিয়োগ দরকার।’
দেশীয় সোলার প্যানেল উৎপাদকরা জানিয়েছেন, বাজারে স্বল্পদামে নিম্নমানের বিদেশি প্যানেল ঢুকে পড়ায় তারা প্রতিযোগিতায় টিকতে হিমশিম খাচ্ছেন। এতে স্থানীয় উৎপাদন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং গুণগত মান বজায় রাখা যাচ্ছে না।
এসএমএমএবি সভাপতি বলেন, ‘দেশে মান নিয়ন্ত্রণের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই।’
শিল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারি নজরদারির অভাবে বিদেশি প্যানেলগুলো কম দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু সেগুলোতে প্রযুক্তিগত ও নিরাপত্তা মান নিশ্চিত করা হচ্ছে না। এতে দেশীয় পণ্যের সঙ্গে সমানভাবে প্রতিযোগিতা করা সম্ভব হচ্ছে না।
এই খাতকে সুরক্ষা দিতে দীর্ঘদিন ধরে এসএমএমএবি দাবি করে আসছে—সরকারি সোলার প্রকল্পগুলোতে বাধ্যতামূলকভাবে স্থানীয় পণ্য ব্যবহারের একটি কোটার ব্যবস্থা চালুর জন্য। প্রস্তাব অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্র, স্কুল, হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ব্যবহৃত সোলার মডিউলের একটি নির্দিষ্ট অংশ স্থানীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
মুনাওয়ার মঈন বলেন, ‘আমরা কোনো বিশেষ সুবিধা চাই না। চাই শুধু এমন একটি নীতিগত সহায়তা, যাতে দেশীয় শিল্প মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে।’
আশুলিয়া
আশুলিয়ায় তাঁতী দলের সভাপতির উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন
আশুলিয়া
আশুলিয়ার সৌর প্যানেল সাফল্য : প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হলো ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ সোলার প্যানেল
আশুলিয়া
আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো: আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল ২ জুলাই, মিলেছে ১৬ জনের সম্পৃক্ততা
আশুলিয়া
আশুলিয়ার সাব-রেজিস্টার অপসারণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান ধর্মঘট
আশুলিয়া
আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ভবন ধস, দগ্ধ ৬
আশুলিয়া
আশুলিয়ার শিমুলিয়ায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
আশুলিয়া
১৭ বছর পর শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করতে পেরে বিএনপি উচ্ছ্বসিত : আশুলিয়ায় সালাউদ্দিন বাবু
আশুলিয়া
আশুলিয়ায় কমিউনিটি ভিত্তিক শিশু সুরক্ষা কমিটি গঠন ও সভা অনুষ্ঠিত
আশুলিয়া
ড. ইউনুস’কে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চাই : বায়েরা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান
আশুলিয়া
আশুলিয়ায় মাদকের টাকার জন্য মাকে কুপিয়ে হত্যা