ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেছেন, 'শুনলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) বিশেষ মর্যাদা দেয়ার দাবি তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। মর্যাদা কি দানের বিষয় নাকি অর্জনের বিষয়? দিন দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মান তলানিতে যাচ্ছে সেই দিকে নজর নেই আমরা আছি বিশেষ মর্যাদার দাবি নিয়ে।' 

 

সোমবার (০২ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

 

অধ্যাপক মামুন বলেন, 'বরং দাবি করা উচিত সব শ্রেণির শিক্ষকদের জন্য উচ্চ মানের স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের। এই দিকে শিক্ষায় বরাদ্দ কমাচ্ছে সেই দিকে কোনো খেয়াল নেই। শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য কোনো দাবি কেউ তুলে না।'

 

অধ্যাপক মামুন আরও বলেন, 'একই সঙ্গে দাবি করা উচিত শিক্ষকদের মান উন্নয়নে সহকারী অধ্যাপক হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা যেনো পিএইচডি করা হয়। বরং দাবি করা উচিত যেইসব জার্নালের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরই নেই সেইসব জার্নালে প্রকাশিত আর্টিকেল শিক্ষক প্রমোশনে ব্যবহার করা যাবে না।'

 

তিনি আরও বলেন, 'বরং দাবি করা উচিত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জার্নাল থাকা উচিত না। আর থাকলেও নিজস্ব জার্নালে প্রকাশিত আর্টিকেল প্রমোশনে ব্যবহার করা যাবে না। বরং দাবি করা উচিত হাই ইমপ্যাক্টফুল আর্টিকেল প্রকাশ করলে শিক্ষককে ইন্সেন্টিভ দেয়া হবে। বরং শিক্ষকদের এমন বেতন দাবি করা উচিত যে বেতন পেলে কোনো শিক্ষক কোথাও কোনো পার্টটাইম পড়াবে না বা অন্য কোনো কাজ করবে না।'

 

অধ্যাপক মামুন আরও বলেন, 'সবাই নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে শিক্ষার্থীদের সময় দেবে আর গবেষণায় মনোনিবেশ করবে।'

 

তিনি বলেন, 'বরং দাবি করা উচিত প্রতিটি ফ্যাকাল্টিতে লেকচার থিয়েটার বানানো যেনো শ্রেণিকক্ষ বাবদ স্পেস সাশ্রয়। বরং দাবি করা উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত স্পেসসহ উন্নত মানের ক্যাফেটেরিয়ার ব্যবস্থা করা যেনো সেখানে ছাত্র-শিক্ষকরা মিলেমিশে একসঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে।'

 

প্রসঙ্গত, এর আগে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা খাতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘বিশেষ মর্যাদা’ (Special Status) দেওয়ার দাবি জানিয়ে রবিবার (০১ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩টি বিভাগের সাক্ষর সম্বলিত এক স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।